অবরোধ কাকে বলে? এর উপাদান ও শর্ত কি কি?


প্রশ্নঃ অবরোধ কাকে বলে? এর উপাদান ও শর্ত কি কি?

ভূমিকাঃ কোন দাবী আদায়ের একটি বিশেষ ব্যবস্থা হলো অবরোধ। এটি কখনো বৈধ আবার কখনো অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়। কোন রাষ্ট্র অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে অবরোধ করা যায় । কিন্তু অন্যায় না করলে কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবরোধ করা যায় না। এরূপ করলে বেআইনী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অবরোধ (Blocked) কাকে বলেঃ কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাকে অবরোধ বলে। অর্থাৎ সাধারণ চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করলে তাকে অবরোধ বলে।

অধ্যাপক ওপেনহাম এর মতে, বিরুদ্ধ পক্ষের উপকূল, জাহাজ, বিমান ইত্যাদির প্রবেশ বা বহির্গমন পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলো অবরোধ।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শুধু শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে অবরোধ করা যায়। নিরপেক্ষ কোন পক্ষের বিরুদ্ধে অবরোধ করা যায় না।

অবরোধের উপাদান কি কিঃ নিম্নে অবরোধের উপাদান উল্লেখ করা হলো :

(১) অবরোধ শুধু সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক হতে হবে।

(২) অবরোধের মাধ্যমে জাহাজের আগমন ও প্রস্থান বন্ধ করা যায়৷

(৩) এটি একটি যুদ্ধকালীন কার্যক্রম।

(৪) শত্রু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবরোধ করা যায়।

(৫) নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবরোধ করা যায় না।

অবরোধের শর্ত কি কিঃ নিম্নে অবরোধের শর্ত উল্লেখ করা হলো :




style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">


(১) নিরপেক্ষতা :
যে সকল রাষ্ট্র যুদ্ধে জড়িত তারা সকল রাষ্ট্রের নৌযানের বিরুদ্ধে সমানভাবে অবরোধ কায়েম রাখবে। কোন দেশের জন্য তা শিথিল করবে না।

(২) অবরোধের সীমা : অবরোধ সৃষ্টিকারী রাষ্ট্র বা পক্ষ যে এলাকার উপর অবরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করবে অবরোধের সীমা তার চেয়ে বেশি হবে না।

(৩) নিরবচ্ছিন্ন অবরোধ : অবরোধ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন কায়েম রাখতে হবে। যদি শক্তিশালী কোন নৌবহর দ্বারা অবরোধ সৃষ্টিকারী জাহাজ বিতাড়িত হয় তাহলে প্রথম থেকেই তা তা ত্রুটিপূর্ণ অবরোধ হিসেবে গণ্য হবে।



style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">


(৪) নিরপেক্ষ উপকূলে বাধা সৃষ্টি না করা :
নিরপেক্ষ বন্দরে বা উপকূলে কোনভাবেই অবরোধ সৃষ্টিকারী পক্ষ সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

(৫) বাস্তবে কায়েম : অবরোধ ব্যবস্থা শুধু কাগজ কলমে বা কাল্পনিক অবস্থায় থাকলে চলবে না। এটি বাস্তবে পরিলক্ষিত হতে হবে।

(৬) বিজ্ঞপ্তি প্রদান : অবরোধ সৃষ্টির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রদান করতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবরোধের এলাকা, কোন দিন থেকে অবরোধ তা উল্লেখ করতে হবে।

উপসংহারঃ অবরোধ নিরসনের পন্থা দু'টি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং বাধ্যতামূলকভাবে। দু'টি পদ্ধতিই আইনসম্মত হলেও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবরোধ নিরসন করা হলে তা পরস্পর রাষ্ট্রসমূহের জন্য অধিকতর কল্যাণজনক হয়।

Post a Comment

Leave a Comment.