নৈতিক প্রগতির সম্ভাব্যতা কি?


প্রশ্নঃ নৈতিক প্রগতির সম্ভাব্যতা কি?

ভূমিকাঃ মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ দিক, ন্যায় অন্যায় যে বিজ্ঞান আলোচনা করে তাই নীতিবিদ্যা। নীতিবিদ্যা মানুষের পরম, কল্যাণের সাথে জড়িত, আর তাই এটি মানুষের নৈতিক আদর্শ নিয়ে আলোচনা করে এবং নৈতিক প্রগতি অর্জনে সহায়তা করে।

নৈতিক প্রগতির সম্ভাব্যতাঃ মানব জীবনে নৈতিকতা প্রগতি অর্জন সম্ভব কি-না, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ 

১. নীতিবোধের চাহিদা বৃদ্ধিঃ বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবন যেমন সহজ হয়েছে তেমনি মানুষের নীতি বোধ দুর্বল হয়ে পড়েছে । বর্তমান সমাজকে তাই সমাজবিজ্ঞানী উইলরিস বেক (Ulric Beck) 'Risk Society' বলে সম্পাদন করেছেন। তাই সকল ক্ষেত্রে এখন নৈতিক শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই গুরুত্ববোধই নৈতিক প্রগতি অর্জনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

২. শিক্ষার ক্রমোন্নতিঃ বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। মানুষের জ্ঞানের পরিসীমা ও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে । এছাড়া নৈতিক শিক্ষার প্রসার ও পঠন-পাঠন বৃদ্ধি পাওয়ায় নৈতিক প্রগতি অর্জনে সম্ভাব্যতাও বহুগুণে বেড়ে গেছে।




style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">


৩. নৈতিক উৎকর্ষ বৃদ্ধির ধীরগতিঃ
 নৈতিক প্রগতির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায় ধীরে ধীরে এবং স্তরে স্তরে নৈতিক প্রগতির উৎকর্ষের সাথে সাথে মানুষ নিজেকে ছড়িয়ে পুরো সমাজ তথা পৃথিবীর কল্যাণের কথাও ভাবতে শুরু করে। সুতরাং নৈতিক প্রগতির উৎকর্ষের হার ধীর হলেও তা অর্জন করা অসম্ভব নয়।

৪. আত্মসচেতনতা ও বিচার-বিবেচনা করার শক্তি বৃদ্ধিঃ বর্তমানে মানুষ পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি আত্ম সচেতন হয়েছে। মানুষের বুদ্ধি তথা বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও বাড়ছে। তাই নৈতিক প্রগতি অর্জনের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।




style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">


৫. নৈতিক প্রগতি মানুষের নৈতিক আদর্শ সম্পর্কিত জ্ঞানকে স্পষ্ট করেঃ
 বর্তমানে মানুষকে সকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে গিয়ে মানুষ নৈতিকতা সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাববোধ করে। এ অভাববোধই মানুষকে নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। সুতরাং প্রতিনিয়তই নৈতিক প্রগতির দ্বার খুলছে।

উপসংহারঃ উপরোক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, নীতিবিদ্যার অন্যতম আলোচ্য বিষয় হলো নৈতিক প্রগতি। যদিও এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া তথাপি মানবজীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে আধুনিক যুগে, নৈতিক অবক্ষয় রোধ করার জন্য নৈতিক শিক্ষার চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এখন এ কথা বলা যায় যে, নৈতিক প্রগতি অবশ্যই সম্ভব।

Post a Comment

Leave a Comment.