প্রশ্নঃ পেশাগত আচরণ বিধি ও নীতিমালার আলোকে একজন আইনজীবীর সহ-আইনজীবীর প্রতি, মক্কেলের প্রতি, আদালতের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য কি কি?
ভূমিকাঃ “দি বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার এন্ড রুলস-১৯৭২” এর মাধ্যমে আইনজীবীদের পেশা সংক্রান্ত বিধি বর্ণিত হয়েছে। আইনজীবীগণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের একই পেশার সদস্যদের সাথে, মক্কেলদের সাথে আদালতের সাথে, সাধারণ জনগণের সাথে আদর্শ আচরণ নিশ্চিত করে থাকেন। এই আদর্শ আচরণগুলিই পেশাগত আচরণ ও শিষ্টাচার হিসেবে অত্র বিধিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
“দি বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার এন্ড রুলস-১৯৭২” এর * Canons of Professional Conduct and Etiquette” নামক অংশটি চারটি অধ্যায়ে বিভক্ত। নিম্নে সেগুলি আলোচনা করা হলো-
একজন আইনজীবীর সহ-আইনজীবীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ "Canons of Professional Conduct and Etiquette” অংশের প্রথম অধ্যায়ের ১-১১ বিধি অনুযায়ী একজন আইনজীবীর সহ-আইনজীবীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) নিজেদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা : প্রত্যেক আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য তাদের নিজেদের পেশার মর্যাদা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি পেশার উচ্চাসন অক্ষুন্ন রাখা। [বিধি-১]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(২) বিজ্ঞাপন প্রদান না করা : কোন আইনজীবী বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে নিযুক্তি গ্রহণ করবেন না। তবে সাধারণ পেশাগত কার্ড, নাম-ফলক ইত্যাদি করতে পারবেন। এই নাম-ফলক বা কার্ডে তাদের পেশাগত যোগ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বর্তমানে ধারণকৃত সরকারি পদবী ইত্যাদির বাইরে কিছু থাকবে না। [বিধি-২]
(৩) পেশাগত কাজ সংগ্রহের জন্য লোক নিয়োগ না করা : কোন আইনজীবী পেশাগত কাজ সংগ্রহের জন্য কোন লোক নিয়োগ করবেন না এবং তাকে পেশাগত কাজ সংগ্রহের জন্য কোন পারিশ্রমিকও দিবেন না। এছাড়া আইন পেশায় অনুমোদিত নয় এমন ব্যক্তির সাথে পেশাগত কাজের ফিস ভাগাভাগি করবেন না। এই ধরনের ব্যক্তিকে আইনপেশায় সহায়তাও করবেন না। [বিধি-৩]
(৪) প্রতিপক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে তার মক্কেলের সাথে আলাপ-আলোচনা না করা : প্রতিপক্ষের কোন আইনজীবী অনুপস্থিত থাকলে তার মক্কেলের সাথে তার সম্মতি ছাড়া আলাপ-আলোচনা না করা একজন আইনজীবী কর্তব্য। [বিধি-৪]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৫) প্রতিপক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে আদালতে মোকদ্দমার বিষয়বস্তু উপস্থাপন না করা : একজন আইনজীবী তার প্রতিপক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে আদালতে বিচারাধীন বিষয় ছাড়া অন্য কোন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন না। তবে উন্মুক্ত আদালত হলে করতে পারেন। এছাড়া প্রতিপক্ষ আইনজীবীর নিকট কপি সরবরাহ না করে কোন লিখিত বিষয় কোন জজ বা বিচারিক কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করবেন না। [বিধি-৫]
(৬) অতিরিক্ত আইনজীবী নিয়োগে বাধা না দেয়া : কোন মক্কেল একাধিক আইনজীবী নিয়োগ দিতে চাইলে তাতে বাধা দেয়া যাবে না। তবে প্রথম আইনজীবীর ফিস পরিশোধ না চা করলে অন্য আইনজীবীর জড়িত হওয়া ঠিক হবে না। [বিধি-৬]
(৭) ব্যক্তিগত বিবাদ পরিহার করা : আইনজীবীদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোন বিবাদ থাকলে মোকদ্দমায় তার প্রভাব ফেলা যাবে না। অর্থাৎ মোকদ্দমা চলাকালে অন্য আইনজীবীর ব্যক্তিগত ইতিহাস, ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বক্তব্য দেয়া যাবে না। [বিধি-৭]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৮) ফিস বন্টনে বিধি-নিষেধ : আইনজীবীদের মধ্যে তাদের কাজের ধরন বা রীতি অনুযায়ী বর্ণিত চুক্তি মোতাবেক ব্যতীত অন্য ব্যক্তির সাথে ফিস ভাগাভাগি করা যাবে না। [বিধি-৮]
(৯) সিনিয়রকে অগ্রাধিকার দেওয়া : সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী এটর্নি জেনারেল অগ্রগণ্য হবেন। এছাড়া আইনজীবীদের কর্তব্য বার কাউন্সিলের রোল অনুযায়ী সিনিয়রকে অগ্রাধিকার দেওয়া। [বিধি-৯]
(১০) সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীর সম্পর্ক : জুনিয়র আইনজীবীগণ সর্বদা সিনিয়রকে শ্রদ্ধা করবেন। অন্যদিকে সিনিয়ররা জুনিয়রদের প্রতি সদাচারি ও সহায়ক হবেন। [বিধি-১০]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(১১) সিনিয়র আইনজীবী কর্তৃক মোকদ্দমা পরিচালনা : কোন মোঁকদ্দমায় একাধিক আইনজীবী কিস নিয়োজিত থাকলে সিনিয়র আইনজীবী মোকদ্দমা পরিচালনা করবেন। জুনিয়র আইনজীবীগণ তাকে সহযোগিতা করবেন। [বিধি-১১]
একজন আইনজীবীর মক্কেলের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য : 'Canons of Professional Conduct and Etiquette” অংশের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ১-১৪ বিধি অনুযায়ী একজন আইনজীবীর মক্কেলের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) মোকদ্দমার বিষয়বস্তুতে আসক্ত না হওয়া : কোন আইনজীবী তার মক্কেলের মোকদ্দমার সাথে জড়িত কোন সম্পত্তি বা স্বার্থের প্রতিকূলে স্বার্থ অর্জন করবেন না। [বিধি-১]
(২) পূর্বের মক্কেলের বিপক্ষে মোকদ্দমা পরিচালনা না করা : কোন আইনজীবী তার পূর্বের কোন মক্কেলের বিপক্ষে নিয়োগ গ্রহণ করবেন না। [বিধি-২]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৩) বিরোধীয় বিষয়বস্তুতে স্বার্থ থাকলে তা প্রকাশ করা : কোন আইনজীবীর যদি বিরোধী পক্ষের সাথে কোন সম্পর্ক থাকে বা বিরোধীয় বিষয়বস্তুতে কোন স্বার্থ থাকে তাহলে তা মক্কেলের নিকট প্রকাশ না করে নিয়োগ গ্রহণ করবেন না। [বিধি-৩]
(৪) কোন মোকদ্দমায় উভয় পক্ষে নিয়োগ গ্রহণ না করা : একজন আইনজীবী কোন মোকদ্দমায় উভয় পক্ষে নিয়োগ গ্রহণ করবেন না। [বিধি-৪]
(৫) মোকদ্দমার বিষয়বস্তু ক্রয় না করা : কোন আইনজীবী যে মোকদ্দমার সাথে সংশ্লিষ্ট সেই মোকদ্দমার বিষয়বস্তু বা সম্পত্তি ক্রয় করবেন না। তিনি মোকদ্দমার পারিশ্রমিক বা পুরস্কার বা দানস্বরূপ উক্ত সম্পত্তি বা তার অংশবিশেষ গ্রহণ করবেন না। [বিধি-৫]
(৬) মক্কেলের সম্পত্তির সাথে নিজের সম্পত্তির মিশ্রণ না করা : একজন আইনজীবী তার নিজের সম্পত্তির সাথে মক্কেলের সম্পত্তির সংমিশ্রণ করবেন না। [বিধি-৬]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৭) নিয়োগবিহীন পরামর্শ প্রদান না করা : একজন আইনজীবী কোন পক্ষের সাথে আলোচনা না করে নিয়োগবিহীন পরামর্শ প্রদান করবেন না। তবে কোন পক্ষ বা বিষয়বস্তুর সাথে যদি তার এমন সম্পর্ক হয় যে তার পদক্ষেপ নেয়া উচিত তাহলে তিনি তা করতে পারেন।[বিধি-৭]
(৮) আইন ভঙ্গের পরামর্শ না দেয়া : কোন আইনজীবী পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আইন ভঙ্গের পরামর্শ দিবেন না। [বিধি-৮]
(৯) আসামীর পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা : একজন আইনজীবী কোন আসামীর অপরাধ সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে অবগত থাকলেও তিনি উক্ত আসামীর আত্মপক্ষ সমর্থনে মোকদ্দমা পরিচালনার অধিকার রাখেন। আবার নিরাপরাধ কোন ব্যক্তি সন্দেহমূলক পরিস্থিতির স্বীকার হলে তার পক্ষে মোকদ্দমা পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন । [বিধি-৯]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(১০) অতিরিক্ত ফিস গ্রহণ করবেন না : কোন আইনজীবী তার পরামর্শ ও সেবার তুলনায় অতিরিক্ত ফিস দাবী করবেন না। মৃত আইনজীবীর বিধাব স্ত্রী, এতিম সন্তানদের মোকদ্দমায় ফিস ছাড়া সহায়তা করবেন । [বিধি-১০]
(১১) ফিস বিষয়ে বিরোধ এড়িয়ে চলা : কোন আইনজীবী তার মক্কেলের সাথে সেই পর্যন্ত বিরোধ এড়িয়ে চলবেন যা তিনি যুক্তিসংগতভাবে পাওয়ার অধিকার রাখেন। [বিধি-১১]
(১২) ব্যক্তিগত বিশ্বাস বর্ণনা না করা : মোকদ্দমার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কোন আইনজীবী তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস উপস্থাপন করবেন না। পেশাগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে মক্কেলের স্বার্থে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। [বিধি-১২]
(১৩) মোকদ্দমার সাক্ষী হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া : কোন আইনজীবী তার মক্কেলের কোন মোকদ্দমায় সাক্ষী হলে, আইনজীবী হিসেবে তার দায়িত্ব অন্য আইনজীবীর উপর ছেড়ে দিবেন। [বিধি-১৩]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(১৪) বিশেষ দিনে মোকদ্দমা করার জন্য বাধ্য করবেন না : কোন মক্কেল কোন দুঃখ, যন্ত্রণা বা শোকাচ্ছন্ন থাকেন এমন দিনে কোন আইনজীবী অপর কোন আইনজীবীকে মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য বাধ্য করবেন না। [বিধি-১৪]
একজন আইনজীবীর আদালতের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ "Canons of Professional Conduct and Etiquette” অংশের তৃতীয় অধ্যায়ের ১-৯ বিধি অনুযায়ী একজন আইনজীবীর আদালতের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) আদালতে উপস্থিত হওয়া : একজন আইনজীবীর অন্যতম কর্তব্য হলো আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। এজন্য কোন বিচারক বা কর্মকর্তার জন্য নয় আদালতের প্রতি সম্মান বা গুরুত্ব দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত হওয়া একজন আইনজীবীর একান্ত কর্তব্য। [বিধি-১
(২) মোকদ্দামর বিরুদ্ধে উপদেশ না দেওয়া : কোন আইনজীবী কোন ব্যক্তিকে এমন উপদেশ দিবেন না যা মোকদ্দমার কাজে বর্জন করা হয়। [বিধি-২]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৩) বিচারক বা আদালতকে বিভ্রান্ত না করা : কোন আইনজীবী ভুল তথ্য দিয়ে বা যুক্তি তর্ক দিয়ে যেমন বিচারক বা আদালতকে বিভ্রান্ত করবেন না তেমনি আইন বা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে অপব্যাখ্যা দিবেন না। [বিধি-৩]
(৪) আদালত বা বিচারকের সাথে বিশেষ সম্পর্ক না রাখা : একজন আইনজীবীর আদালত বা বিচারকের সাথে এমন সম্পর্ক রাখা উচিত নয় যারফলে মোকদ্দমা প্রভাবিত হয়। এছাড়া বিচারাধীন কোন মোকদ্দমা নিয়ে বিচারকের খাস কামরায় এমন আলোচনা করা যাবে না যারফলে মোকদ্দমায় উক্ত আইনজীবী প্রধান্য পায়।
(৫) আইনজীবী হিসেবে প্রথম দায়িত্ব : কোন অভিযুক্তকে শাস্তি দেয়া আইনজীবীর দায়িত্ব নয়। ন্যায়বিচারে সহায়তা করাই হলো আইনজীবীর প্রথম দায়িত্ব। [বিধি-৫]
(৬) খবরের কাগজে তথ্য প্রকাশ না করা : কোন আইনজীবী কর্তৃক বিচারাধীন কোন মোকদ্দমার তথ্য খবরের কাগজে প্রকাশ করা নিন্দনীয়। [বিধি-৬]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৭) নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচারক নির্বাচন : বিচারক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনজীবীদের কর্তব্য তা হলো রাজনৈতিক বিবেচনা করা। [বিধি-৭]
(৮) সময় মতো আদালতে হাজীর হওয়া : একজন আইনজীবীর অন্যতম কর্তব্য হলো সময় চাতটি মতো আদালতে হাজীর হওয়া। সময় মতো হাজীর হতে না পারলে সন্তোষজনক কোন বিকল্প ব্যবস্থা করা। [বিধি-৮]
(৯) স্বেচ্ছায় কোন মতামত না দেয়া : কোন মোকদ্দমায় নিযুক্ত নয় এমন আইনজীবী স্বেচ্ছায় কোন অভিমত বা যুক্তিতর্ক প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবেন। তবে কোন পক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকলে আদালত তার অভিমত আহ্বান করলে তিনি অভিমত দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। [বিধি-৯]
একজন আইনজীবীর জনসাধারণের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ “Canons of Professional Conduct and Etiquette” অংশের চতুর্থ অধ্যায়ের ১-৮ বিধি অনুযায়ী একজন আইনজীবীর জনগণের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(১) কোন ব্যক্তিকে হয়রানির উদ্দেশ্যে নিযুক্তি না নেওয়া : কোন ব্যক্তিকে বিরক্ত করা, হয়রানি করা বা মোকদ্দমা বিলম্বিত করা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে বাদী বা বিবাদী কোন পক্ষে একজন আইনজীবী নিযুক্ত হবেন না। [বিধি-১]
(২) ভিন্ন পক্ষের সাথে ভালো আচরণ করা : একজন আইনজীবী সর্বদা তার ভিন্ন পক্ষের সাথে ভালো আচরণ করবেন। বিচার চলাকালে আইন বহির্ভুত কাজ করবেন না। [বিধি-২]
(৩) ক্ষতির উদ্দেশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা : একজন আইনজীবী কোন ব্যক্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে মোকদ্দমা দায়ের বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। [বিধি-৩]
(৪) পরামর্শ প্রদানে বাধ্যবাধকতা : কোন আইনজীবী প্রত্যেককে পরামর্শ প্রদান করতে বা আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য নন। [বিধি-৪]
(৫) মোকদ্দমা গ্রহণ বা বর্জন করতে পারেন : একজন আইনজীবী কোন ব্যক্তি বা সংস্থা যতই ক্ষমতাবান হোক অথবা রাজনৈতিক মোকদ্দমা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক তিনি পেশাগত নিযুক্তি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। [বিধি-৫]
crossorigin="anonymous">
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">
(৬) পরিচয় প্রকাশ করা : কোন আইনজীবী কোন সরকারি অফিসার, বোর্ড কমিটি ইত্যাদির নিকট পেশাগত দায়িত্বে উপস্থিত হলে প্রথমে তিনি তার পরিচয় দিবেন। [বিধি-৬]
(৭) পূর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে : কোন আইনজীবী যদি কোন বিষয়ে পূর্বে বিচারক পদমর্যাদায় কাজ করেন তাহলে তিনি সেই বিষয়ে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ লাভ করবেন না। [বিধি-৭]
(৮) ব্যবসা, চাকুরি বা অন্য পেশার সাথে জড়িত না হওয়া : একজন আইনজীবী নিজের আইন পেশা ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসা, চাকুরি বা পেশার সাথে জড়িত হবে না। [বিধি- 비
উপসংহারঃ আইন পেশা শুধু একটি ব্যবসা নয়, এটি একটি সেবা। কোন মানুষ অধিকার হারা হলে বা অন্যান্য ক্ষতির সম্মুখীন হলে আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকে। আর আইনের আশ্রয় লাভ করতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন বা পদ্ধতির মাধ্যমে তা পেতে হয়। এই সকল নিয়ম-কানুন বা পদ্ধতি সাধারণ লোকদের জানা থাকে না। এক্ষেত্রে আইনজীবীগণ মূলত: আইনের আশ্রয় পেতে জনসাধারণকে সহায়তা করে থাকে।
Post a Comment