সুদানের দারফুর অঞ্চলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রুলিং আলোচনা কর


প্রশ্নঃ সুদানের দারফুর অঞ্চলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রুলিং আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ যুদ্ধ এমনি এক বিষয় যা কেউ কামনা করে না। তবে যুদ্ধ বললে শুধু ধ্বংস বা ক্ষতির বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু যুদ্ধ কোন পক্ষের জন্য মঙ্গলও বয়ে আনে। অর্থাৎ যুদ্ধ কখনো কখনো অনিবার্য হয়ে পড়ে। যুদ্ধের বিকল্প আর কোন পথ থাকে না।

যুদ্ধের সময় বেসামরিক জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং যুদ্ধবন্দীদের প্রতি ব্যবহার সম্পর্কে ১৯৪৯ সালের জেনেভা চুক্তি বা কনভেনশনঃ নিম্নে ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধের সময় বেসামরিক জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং যুদ্ধবন্দীদের প্রতি ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

(১) হাসপাতাল এবং নিরাপদ স্থান তৈরি : যুদ্ধের সময় বা শান্তিকালীন সময়ে নিজ এলাকায় বা দখলকৃত এলাকায় আহত মানুষের সেবার জন্য, ১৫ বছরের কম বয়স্ক বালক- বালিকাদের, গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য হাসপাতাল ও নিরাপদ স্থান তৈরি করতে হবে। [অনু-১৪]

(২) হাসপাতাল এলাকায় আক্রমণ না করা : যুদ্ধের সময় কোন অবস্থাতে হাসপাতাল এলাকায় আক্রমণ করা যাবে না। [অনু-১৮]

(৩) হাসপাতালের কর্মীদের নিরাপত্তা : হাসপাতালে বিভিন্ন কাজে যারা নিয়োজিত তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। [অনু-২০]

(৪) স্থানান্তর কাজে বা চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা : স্থানান্তর কাজে বা চিকিৎসা কাজে যে সকল ব্যক্তিবর্গ নিয়োজিত তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। [অনু-২২] 




style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">


(৫) সামাজিক অধিকার রক্ষা :
 রক্ষিত ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা, পারিবারিক অধিকার, ধর্মীয় রীতি ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। [অনু-২৭]

(৬) সামরিক এলাকায় নিয়োগ না করা : রক্ষিত ব্যক্তিদেরকে সামরিক এলাকায় কোন কাজে নিয়োগ করা যাবে না। [অনু-২৮]

(৭) রক্ষিতদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত না করা : এমন কোন কাজ করা যাবে না যারফলে রক্ষিত ব্যক্তিদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। [অনু-৩২]

(৮) অন্য রাষ্ট্রে প্রেরণ না করা : রক্ষিত ব্যক্তিদেরকে জোরপূর্বক অন্য কোন রাষ্ট্রে প্রেরণ করা যাবে না। [অনু-৪৯]




style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-3850092454288730"
data-ad-slot="2569077421">


(৯) শিশু পরিচর্যার প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা প্রদান :
 যে সকল প্রতিষ্ঠান শিশুদের লালন-পালন বা পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত সেই সকল প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হবে। [অনু-৫০]

(১০) খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ করা : দখলকারী রাষ্ট্র দখলকৃত এলাকার অধিবাসীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ করবে। [অনু-৫৫]

(১১) আইনী সহায়তা প্রদান : দখলকৃত অঞ্চলের কোন ব্যক্তির বিচার শুরু হলে তাকে সাক্ষ্য প্রমাণ হাজীর করার বা কৌশলীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে হবে। [অনু-৭৩]

উপসংহারঃ যুদ্ধ কারো কাম্য নয়। তবুও কোন কারণে যুদ্ধ সংঘটিত হলে যুদ্ধের নিয়ম মেনে যুদ্ধ করতে হয়। এসময় নারী, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ্য ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। এই সকল বিষয় না মানা হলে পরবর্তীতে তাদেরকে অপরাধী হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।

Post a Comment

Leave a Comment.